সর্বশেষ

10/সর্বশেষ/ticker-posts

শীত বাতাসে হলুদ পাতার গান




আউয়াল আনোয়ার

আজ শীত,পৌষ মাসের পিরিতকাল।চেয়ে দেখো ভোরের আকাশ, কী শান্ত,কী নির্লোভ,কী সুনির্মল।ঠিক লিপজেল ঠোঁটের মতো,প্রসাধনবিহীন,কিন্তু বড় আদুরে।জলরং আগুন পাখি ভালোবাসা।

প্রাতঃভ্রমণ শেষে হেটে যায় মানুষ,যে যার প্রিয় গন্তব্যে, বড় অপরূপ রূপ।শিশিরে ভিঁজে যায় ঘাসের জমিন,ভোরের পবিত্রতা।আজ হালকা কুয়াশা,খেজুর রসের হাড়ি,গাদা ফুল চোখ টিপে হাসে,গদখালিতে ফুলের উৎসব,ক্যালেন্ডার পাতায় পাতাঝরা দিন।নীল কার্ডিগানে তোমার দেহে শীতের গান।অরণ্য,নদী, সমুদ্র, পাহাড় আর কবিতায় দীর্ঘ শীত ভ্রমণের প্রস্তুতি শুরু।কোথায় যাচ্ছো এবার?নাপাখুমখুম? হামহাম?মৈনাক?নাকি মনপুড়ার ঝিলিক দেয়া রোদ?হেডা টিং টং সোমেস্বর? ঘুম পাহাড়ে কে যেনো ডাকে,এখানে কোন জটিলতা নেই, নেই অযথা কথার পুঁতিগন্ধময় মারপ্যাচ। পাখিরাও এবার দীর্ঘ ভ্রমণে যাবে।

আজ অবসর দিন,আজ প্রকৃতির পাঠগুলো বুঝে নেবো ঠিকঠাক সারাক্ষণ।সে কি আনন্দ হবে তখন!জন্ম হবে নতুন কবিতার,ক্ষীণজল নদীতেও কবিতার জন্ম হয়,মাঝি?বাদামতলি ঘাটে একঝাক কবিতার জলযাত্রা শুরু হলো বুঝি!জাহাঙ্গীরনগরে শীত পাখির ডাকে কবিতারা নৃত্য জমায়,জমে থাকা ক্লান্তির ভেতর আস্তে আস্তে পাল্টে যায় প্রকৃতি,ছেঁড়াদ্বীপে শীৎকারের শব্দ,কেয়াফুলে পৃথিবীর তাবৎ হাহাকার। 

শীতের কাঁপুনিতে তোমার চাদর,কার্ডিগান ধন্য হবে খুব।বাগানগুলো ফুলে ফুলে দুলে উঠবে দ্রুত।আলনায় জমে থাকা তোমার স্তূপিকৃত শীত পোশাক,লাল নীল কতো।নিশাদল দীঘির ঘাটে নৃত্য জমে উঠবে জবর তখন।কবিতার খাতায় মুক্তোর মত মহামূল্যবাণ অক্ষরগুলো লেপমুড়ি দিয়ে ওম পেতে চাবে খুব!Cool Cool ঠান্ডা দেখে তুমি সাতসকালে উষ্ণ জলের করবে আয়োজন।ভালোবাসাগুলো রং পাবে বুনো আদরে।অলিভ অয়েলে মসৃণ হয়ে শীতকে তুমি করবে বরণ,মেদহীন অপার সুন্দর। 

বাতাসে এখন হলুদ পাতার গান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ