সর্বশেষ

10/সর্বশেষ/ticker-posts

ইসলামী ছাত্রীসংস্থা কারা? কী এদের কাজ?

জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে, নারীরা কি ঘর থেকে বের হতে পারবে? জামায়াত কি নারীবিদ্বেষী সরকার ব্যবস্থা কায়েম করবে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু খোদ জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরেই যে নারীদের সক্রিয় সংগঠন বিদ্যমান তা এখনো অনেকেরই অজানা। বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলায় যেমন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রশিবির' এর কার্যক্রম রয়েছে, ঠিক তেমনি একটি সংগঠন আছে যার সদস্য কেবল ছাত্রীরা৷ সংগঠনটির নাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা। মূলত কারা যোগদান করে এই সংগঠনে? এ সংস্থার কাজই বা কি?

 


১৯৭৮ সালে ইডেন মহিলা কলেজের ১১ জন ছাত্রীর যৌথ উদ্যোগে সংগঠন যাত্রা শুরু করে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা। মূলত এটি জামায়াতে ইসলামীর একটি অঙ্গসংগঠন। ইসলামী ছাত্রীসংস্থার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, থানা, জেলা এবং মহানগর এলাকায় কমিটি রয়েছে। সংগঠনটির সদস্যা সংখ্যা ৮,০০০ এবং সারা দেশে ১১২টি ইউনিট রয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভানেত্রী ছিলেন খন্দকার আয়েশা খাতুন। সাংগঠনিক ভাবে এদের লক্ষ্য, বাংলাদেশের ছাত্রী সমাজকে শরীয়া অনুযায়ী গঠন করে তাদেরকে আদর্শ মুসলিম নারী হিসেবে গড়ে তোলা। 


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর অন্যান্য অঙ্গসংগঠনগুলোর মত ছাত্রীসংস্থাকেও বিভিন্ন চাপের মুখে পড়তে হয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে। বিশেষ করে ২০১৩ সালের পর থেকে আটক এবং রিমান্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রী সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ছাত্রীদেরকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে এক প্রজ্ঞাপনে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সংগঠনটির কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষনা দেয়া হয়।


তবে জুলাই গন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর আবারো পূর্ণ উদ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে ইসলামি ছাত্রীসংস্থা। বতর্মানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী মুহতারামা মুনজিয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সংগঠনটির। ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না। তিনি জানান কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি। এ সময় তারা নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, নারী শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত কমনরুম, নামাজরুম ও ওজু খানার ব্যবস্থা, আবাসন সংকট নিরসন, হলভিত্তিক মেডিসিনের সুব্যবস্থাসহ বেশকিছু বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ