চড়ুই পাখির বাসাটা শহরের কোনও এক হক সাহেবের বাসাতেই ছিলো। টিনের চালের বাসার সামনে ছোট্ট বারান্দা। বারান্দার পরেই বৈঠকখানা। আর দুইপাশে দুইটা ছোট ছোট রুম। এক রুমের কোনাতে টগরের ঝোপ। ওই রুমেই টগর থাকতো।
চড়ুই পাখিরা জানে না, টগর কোথায়। তারা তাদের ছোট্ট ছানার অপেক্ষা করছে। মা চড়ুই সারাদিন তা দেয়, বাবা চড়ুই মুগ্ধ হয়ে গান গায় আর মাঝে মাঝে বাইরে থেকে খাবার আনে। সুখে আছে তারা।
আজ বাবা চড়ুই হক সাহেবের বাসা খুজে পাচ্ছে না। যেখানে বাসাটা, সেখানে দাউ দাউ আগুন। কাছেই মানুষের মতো দেখতে কালো কালো তিনটা কয়লা পড়ে আছে।
বাবা চড়ুই তার প্রিয়তমার খোঁজ পায় না। খোঁজ পায়না তার খড়ের ঘরে থাকা অনাগত শিশুদেরও।
৪ মাস পরে, টগর ফিরে আসে মুক্তি নিয়ে।
আর চড়ুইটা, মুক্তির খোঁজে অস্থির হয়ে, এঘর ওঘরে মা চড়ুইকে খুঁজে ফেরে।
0 মন্তব্যসমূহ