অতি সামান্য ছুটির কোটা থেকে,
দুটো না, মাত্র একটা দিন আমি তুলে নিলাম,
শুধুই আমার জন্য।
একটু অবসর, একটু আড়াল কিংবা আরাম।
খালি বাড়িতে লিভিং রুমের কোনে,
আনকোরা বইটা খুললাম।
চোখ বন্ধ করে ঘ্রাণ নিতেই
ঝরঝরে হয়ে উঠতে লাগলো শরীর, মন সবটা।
ঝরে যেতে লাগলো , সময়ের মেদ।
দেওয়ালে ছায়া পড়েছে,
সেই প্রজাপতি নারীর পেইন্টিং এর।
সে রোজ আমায় একরকম দেখে, তাই আজ ভ্রুকুঞ্চন।
সাদা ফ্রেমের কালো ভুতুড়ে মুখটা, একটু কি
মাথা ঘুড়িয়ে তাকালো?
এই ভ্রু কুঞ্চন, ভুতুড়ে চাহনিরা জানেনা,
আজ এই ঘরে পুরোটা অতিরিক্ত জায়গা
শুধুই আমার।
ভাবনা গুলো ঢুকিয়ে দেই সেই খানে, যেখানে
ভেতর থেকে কি যেন একটা মুক্তি চায়।
ডুব দিয়ে দেখি,
সেই কবে ফেলে আসা এক বালিকা।
ছোট্ট কপালঘেরা তার মুখ,
চোখ নিচু করে বসে আছে।
সে কারো পারুল বোন ছিলো, নন্দিনী ছিলো কারো।
ঝটপট মুখ ফেরাই, থাক ও ওখানটায়।
বাইরে এক সমুদ্র,ভিতরে আর একটা,
দুটোই দুলে উঠে,সমান তালে।
আমি এবার প্রবেশ করি আমার ভিতরে।
অনেক দিন বাচতে, বাচতে,
কিছু নান্দনিক অভ্যাস কী আমি গড়তে পারলাম?
অর্কেস্ট্রার কন্ডাকটরের মতো
দুই হাত তুলে ধরি,কোনো যুক্তি, বুদ্ধি ছাড়া
এই একান্ত সময়টুকুর নির্জাস টেনে নেই।
বিশুদ্ধায়নের খেলা শেষে স্বরলিপি গুলো
বড্ডো জীবন্ত,বড্ডো ভালবাসার।
ভীষণ কুড়েদের মতো,
বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন করে কাটানো জীবনের
খুব জীবন্ত একটি দিন আজ।
চেনা হয়ে যাওয়া সময়গুলোকে,
আজ সেই অচেনা, রোমাঞ্চকর
সময়ের ঠিকানায় নিয়ে যাই।
উধাও হয়ে যাই সেই পথে, যার চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে
অচেনা মন্দ্রকণ্ঠে শীষ দিচ্ছে এক অচিন পাখি।
0 মন্তব্যসমূহ