লেখা : সুলতানা মেহেরুন মেরি
বাড়ির বড় মেয়ে হওয়ার কারনে খুব ছোটবেলা থেকেই ছোট ভাইবোন'দের প্রতিপালনে মা'কে সহযোগিতা করতো কল্পনা।
ভাইবোনদের দেখাশোনা করতে যেয়ে কল্পনা তার নিজের শৈশব কে কখন হারিয়ে ফেলেছে টেরই পায়নি।
বাবার পেনশনের পর ভাইবোনদের পড়াশোনার খরচ চালাতে যেয়ে কল্পনাকে পড়াশোনা শেষে চাকরিতে ঢুকতে হয়।
সব ভাইবোনদের প্রতিষ্ঠিত করতে যেয়ে নিজের বিয়েও হয় অনেক দেরিতে।
কিন্তু বিয়ের পরেও সেই একই অবস্থা। স্বামীর উপার্জনের পাশাপাশি কল্পনার উপার্জন দিয়ে দেবর ননদের পড়াশোনার খরচ চলে।
এর মধ্যে কল্পনার কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান। সন্তানকে নিয়ে কল্পনা যখন স্বপ্নে বিভোর বাচ্চার ৪ বছর বয়সে সে বুঝতে পারে তার বাচ্চা অন্য সব স্বাভাবিক বাচ্চাদের মতো না।তার অটিজম আছে।
কল্পনার ছেলের বয়স এখন ১৭ বছর। ১৭ বছর ধরে কল্পনা ঠিক সেই ছোটবেলার মতো ছেলেকে লালন পালন করে আসছে।
সারাজীবন বুঝি এভাবেই তাকে সন্তান প্রতিপালন করে যেতে হবে। সেই ছোট্টবেলায় ভাইবোনদের প্রতিপালনের মতো।
0 মন্তব্যসমূহ