প্রথমে দুরন্ত ছেলেটির পেছনে দৌড়ে দৌড়ে চল্লিশ মিনিট ধরে তাকে ছোট একবাটি খিচুড়ি খাওয়ালো রুমানা। তারপর মেয়েকে বাথরুমে নিয়ে ঠান্ডা গরম পানি মিলিয়ে সহনীয় করে নরম কাপড় দিয়ে ডলে গা ধুইয়ে নতুন জামা পরানো হলো। চোখের সামনে বাচ্চাগুলো যখন খেলা করে রুমানার মনে হয়, বাকি সবকাজ পড়ে থাক। চেয়ে চেয়ে কেবল এই দুটি পুতুলকেই দেখে। কত জলদি বড় হয়ে যাচ্ছে বাচ্চা দুটি! যা করে তাই অদ্ভুত সুন্দর লাগে।
"বৌমা, আমাকে একটু তোলো। টয়লেটে যাবো," রুমানার শাশুড়ি ডাকে পাশের ঘর থেকে।
"এই শুনছো, মা টয়লেট করবেন। তুমি একটু মাকে ধরে নিয়ে যাও না," বাচ্চাদের পাশে বসে খেলা করা স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলে রুমানা।
"আমি বাবাইকে হাঁটা শিখাচ্ছি তো। এখন পারবো না। তুমি যাও প্লিজ," কণ্ঠে বিরক্তি ঝরে পড়ে মুনতাসিরের।
বৌমা আর নিজের ছেলের সব কথাই পাশের ঘরে খাটে শুয়ে শুনতে পান আছিয়া বেগম। বিড়বিড় করে বলেন, “তোমারেও আমি একদিন এইভাবে নিজের হাতে হাঁটন শিখাইছিলাম বাপজান।“
0 মন্তব্যসমূহ