লেখা-তানজিনা ফারাহ
ধীরে ধীরে প্লাস চিহ্ন ভেসে উঠা স্ট্রিপটার দিকে ভাবলেশহীন ভাবে তাকিয়ে রইল স্বাতী ।এইরকম একটা মুহুর্তের জন্য গত সতের বছর অপেক্ষা করেছে। দুই বার আই.ভি.এফ ও সফল হয়নি।তাই তারা ঠিক করেছিল দেশে কোন এতিম বাচ্চাকে এডপ্ট করবে। মার্চে টিকেট করেছিল কিন্তু করোনার কারনে সব বাতিল হয়। হাতমুখ ধুয়ে জানালার পর্দা সরাতেই চোখ পড়ল ভয়ঙ্কর নীরবতা, পুলিশের গাড়ী। যেন এ যেন যুদ্ধের গল্প। ইংলিশ এরিয়া এমনিতেই নীরব থাকে সবসময়।
কাকে জানাবে? হাসান গত দুইদিন হল হাসপাতালে ভর্তি। সে নিজেও আইসোলেশন। বাসায় সম্পূর্ন একা। এদেশে আপন বলতে শাশুড়ী যিনি আপন ফুপুও, দুই বছর হল কোন সম্পর্ক রাখেনি, তার বড় ছেলেকে আবার বিয়ে দেয়ার সব চেষ্টার বিফলের পর। ছোট পাঁচজন জা ওনার বংশের বাতি জ্বালিয়ে ঘর আলোকসজ্জা করে রেখেছে, তারাও এখন অনেক দূরের মানুষ। সারাজীবন ভাইবোন ছাড়া একা বড় হয়েছে, বিয়ের পর এদেশে আসা। এখানে স্বামী শাশুরির নিষেধে বাইরের কোন মানুষের সাথে মিশেনি। তাই বন্ধু বা কাছের মানুষ কেউ নেই। তবু এতটা একাকিত্ব জীবনে কখনো কি এসেছিল?
0 মন্তব্যসমূহ