সর্বশেষ

10/সর্বশেষ/ticker-posts

অণুগল্প-উইশ /ডেইজি সাঈদ

 


লেখা : ডেইজি সাঈদ



ক্রিং ক্রিং ক্রিং ফোনটা বেজেই চলছে! শানু পড়ি-মরি হয়ে ফোন ধরলো।ওপাড় থেকে ভরাট কন্ঠ -হ্যালো.....

শানু একটু লাজুকই ছিলো! কিন্তু ছেলেটি সব সময় একটু সাহসী আর বেশ গুছিয়ে কথা বলতো। শানুর শুনতে ভালই লাগতো।

ছেলেটি জিগ্যেস করলো - তোমার জন্মদিনটা কবে? শানু বলতে নারাজ! সে নাছোড়বান্দা! এভাবে

গড়িয়ে যায় বছর! ছেলেটি খুব মন খারাপ করে! তা দেখে মেয়েটিরও একটু মন খারাপ হয়! পরের বছর আবার একই প্রশ্ন করে ঠিক আছে দিনটা না হয় বলো না , মাসটা বলো! মেয়েটির মনে দয়ার উদ্রেক হলো! বললো -জুন

ছেলেটি ডিসেম্বরের শীতে কাঁপতে কাঁপতে বললো তুমি এমন কেনো শানু?!

শানু মনে মনে বললো-আমি এমনই!

তারপর সেই ছেলেটি জুনের এক তারিখ থেকে জুনের ত্রিশ (শেষ) তারিখ প্রতি দিন মেয়েটিকে রাত বারোটা এক মিনিটে ফোন করে উইশ করতো!

ছেলেটি চেয়েছিলো একটি বার যেন শানু দেখা করে।

কতো মিনতি তারপরও মেয়েটির মন গলেনি,মেয়েরা মাঝে মাঝে অকারনেই ছেলেদের কস্ট দেয়!

একদিন ছেলেটি কোন্ এক অজানা ঝড়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেলো! তারপর দিন ,মাস,বছর গেলো আর কখনো ভরাট গলার ছেলেটি ফোন করেনি।

আচ্ছা সেকি এখনো জুনের তাপে গলে গলে উত্তপ্ত অভিশাপ দেয়? নাকি এখনো বলে - শুনতে পাও? হ্যালো, হ্যালো?

জুনের প্রতিটি দিন-

তোমার, শুভ জন্মদিন!!!


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ