লেখা : রুশা চৌধুরী
হেমন্তের হিম ভোরে তাদের পুরনো বাড়ীর ছাদে দাঁড়িয়ে কুন্তলা শুন্যে দু চোখ মেলে রাখে। মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে, গতকাল সকালে তার তিন বছরের সাজানো সংসার শেষ হয়ে গেছে।
তনুময় আর নেই। তারপর বাড়ী ভরে ওঠা হাজারো স্বজনের মাঝে এই মাত্র সে ফাক পেলো একা হবার।তার চোখে কান্নার দাগ।
হঠাত উত্তরে হাওয়ার হাত ধরে, কে যেন তাকে ডেকে ওঠে। ছাদের রেলিঙ আঁকড়ে নিজেকে সামলায় সে।
পেছনে তাকায়... শূন্য।
কিন্তু,সে নিশ্চিত কেউ ছিলো।
অস্পষ্ট একটা আকার, রঙ, সুগন্ধ। বড্ডো চেনা।
অস্থির পায়ে নিচে নামে সে,প্রচন্ড ঠান্ডা। সারাদিনের ধকল শেষে অনেকেই যে যেখানে পেরেছে ঘুম।
প্রতিটি মুখ সে খুজতে লাগলো। ঠিক যেমন মহাযুদ্ধের পরে কুরুক্ষেত্রে, বিধবারা তাদের বীর স্বামীদের খুঁজেছিল।
কিন্তু সে তো এখনো তার কাছে মৃত নয়, তাহলে??
তার স্পন্দন যে এখনো সে পাচ্ছে।
সে আবার উপরে উঠতে থাকে।
স্পন্দিত, শিহরিত কিন্তু আর এলোমেলো নয়।
আজ থেকে যে তার তীর্থযাত্রা শুরু হলো।
নতুন এক মহা সমর।
0 মন্তব্যসমূহ