লেখা-পার্থসারথি ।
সময় গড়িয়ে যায়। প্রতিটিক্ষণ চলে ঋতু-বদলের হামাগুড়ি। পাল্টে যায় বিভিন্ন প্রেক্ষাপট। জীবনে ঘটে যায় যোগ অথবা বিয়োগের পালা। সময়ের সিঁড়ি বেয়ে আজ সৈকত ও পারমিতা খুবই কাছাকাছি । একজন অন্যজনের ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন। পারমিতাবিহীন মূর্হূত সৈকত ভাবতে পারে না। আর পারমতিার ভাবনার বিস্তীর্ণ জাল শুধু সৈকতকে নিয়ে। ফাইনাল পরীক্ষা আর বেশিদিন বাকি নেই। এখন ওরা লেখাপড়া নিয়ে বেশ ব্যস্ত। প্রায় সারদিনই একসাথে লাইব্রেরিতে লেখাপড়া করে। কারণ ক্লাস সাসপেন্ড হয়ে গেছে। পরীক্ষা খুবই কাছাকাছি। ওদের লেখাপড়া চলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। তারপর ঘন্টাখানেকের জন্য বাইরে বেরিয়ে আসে। দুপুরে খাওয়াটা ডাকসু ক্যাফেতেই চলে। দু’জন একান্তে বসে কিছুক্ষণ গল্প করে। আবার লাইব্রেরিতে ফিরে আসে। গৌধূলী বেলায় আবার বাইরে বেরিয়ে আসে। পরপর চলে কয়েক কাপ চা। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি আবার লাইব্রেরিতে খোশ মেজাজে ফিরে আসে এবং লেখাপড়া চলে লাইব্রেরি যতক্ষণ খোলা থাকে।
লাইব্রেরির দোতলার পূর্বদিকের রুমের এক কোণের টেবিলে ওরা বসেছে। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক কথাবার্তা চলে । হয়তো দেখা গেল পারমিতার একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ফাঁকে অন্য কথা শুরু হয়ে যায়।
এখন শেষ বিকেল। একটু পরই ওরা বাইরে বেরিয়ে আসবে। পারমিতা যে প্রশ্নটা ধরেছিল সেটি মোটমুটি শেষ হয়ে গেছে। এখন একটা বই নেড়ে চেড়ে দেখছে। দৃষ্টি ঘুরিয়ে সৈকতের দিকে তাকাল। সৈকত গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। টেবিলে কনুই গেঁড়ে হাতের তালুতে মুখ গুজে পারমিতা দৃষ্টিহীন পলকে সৈকতের মনে প্রশ্ন জাগায়। ফিরে তাকায় সৈকত। পারমিতা পলকহীন । না হেসে পারল না সৈকত। শব্দহীন হাসির রেশ টেনেই সৈকত জিজ্ঞেস করে- কী ব্যাপার, লেখাপড়া রেখে আমাকে ওভাবে দেখার কী আছে?
আমার পড়া শেষ।
শেষ মানে?
শেষ মানে শেষ। যে প্রশ্নটা ধরেছিলাম পড়া হয়ে গেছে।
তাই বলে চুপচাপ বসে থাকবে? অন্য একটা প্রশ্ন ধরো।
এখন আর ভালো লাগছে না। চায়ের নেশা চেপে বসেছে।
আর দশ মিনিট, তাহলেই উঠতে পারবো।
লক্ষীটি একটু চুপচাপ বস।
আমি কি দুষ্টুমি করছি নাকি?
তুমি শুধু দুষ্টমিই করছ না, আমার মনটা নিয়ে লোফালুফি করছ। এমন করলে কি আর সুস্থির থাকা যায়।
পারমিতা এক গাল হেসে বলে আমি তোমার মন নিয়ে খেলবো না তো আরেকজনের মন নিয়ে খেলবো ?
সৈকত একটু দুষ্টমি ভরা কণ্ঠে বলে- তুমি কি আর কারও মন নিয়ে খেলতে চাও?
পারমিতা হাত জোড় করে চোখ টেনে বলে মাফ চাই এক মন নিয়ে খেলা করেই পেরেশান। মনের পরিধি যে এত ব্যাপক এবং গভীরতা কখনও কল্পনা করিনি।
চোখে চোখ রেখে সীমাহীন দৃষ্টিতে সৈকত তাকিয়ে থাকে।
পারমিতা বলে থাক,ওভাবে তাকিও না, তাহলে মরে যাব। এত গভীরে গিয়ে নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট হয়। তুমি তোমার পড়া শেষ কর। আমি চুপচাপ বসছি। এই বলে পারমিতা সুবোধ বালিকা হয়ে চুপচাপ বসে থাকে।
কিন্তু সৈকতের দৃষ্টি সীমা থেকে নিজেকে সরাতে পারছে না। এক পলক অন্যদিকে তাকায় তো এক মায়াময় গভীর টানে আবার ফিরে আসে। দু’জনার দৃষ্টি এক হয়। পলকহীন দৃষ্টি সৈকতের। দৃষ্টির গভীর টানে পারমিতা মোহাচ্ছন্ন হয়ে যায়। হাঁটিহাঁটি পা পা করে সৈকতের হৃদয়ের গভীর অন্ধকূপে পৌঁছে যায় পারমিতা। অন্ধকারের অলি-গলি হেঁটে বেড়াতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। পারমিতা কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে সৈকত, তোমার দৃষ্টির গভীরতা কমিয়ে নাও। আমি একটুও স্থির থাকতে পারছি না।
সৈকত চুপচাপ। পারমিতা সৈকতের হাত চেপে ধরে বলে- তোমার দৃষ্টিজাল থেকে বের হওয়ার মত শক্তি আমার নেই। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। কথা বলতে গিয়ে পারমিতার ঠোঁট জোড়া অসম্ভব রকম কেঁপে ওঠছে।
পারমিতার হাতে হাত রেখে সৈকত এক গাল হাসে। একটা র্দীঘ নিঃশ্বাসে পারমিতা শান্ত হয়। তারপর চোখ ঠেড়ে সৈকত বলল- কী কেমন হলো?
পারমিতার জবাবের অপেক্ষা না করে বইপত্র গুছিয়ে সৈকত উঠে দাঁড়ায় এবং বলে- চল, নিচ থেকে ঘুরে আসি।
শব্দহীন পারমিতা সৈকতের সাথে নিচে নেমে আসে। দু’জন এসে বসে হাকিম চত্বরে । চা শেষে সৈকত যখন সিগারেট ধরায় তখন পারমিতা বলে তুমি বস, আমি এক্ষুণি আসছি।
কোথায় যাচ্ছো?
রুমে যাব।
মাথা নেড়ে সৈকত হ্যাঁ-সূচক জবাব দেয়। পারমিতা হেঁটে চলে হলের দিকে। সৈকত সিগারেটে দেয় লম্বা টান। তারপর পারমিতার জন্য অপেক্ষা। পারমিতা ফিরে এল দশ মিনিটের মধ্যেই। পারমিতার হাসিমাখা মুখ যেন একরাশ কালো মেঘের ছায়ায় ঢেকে আছে। কাছাকাছি হতেই সৈকতের ভেতরটা অজানা আশঙ্কায় মোচড় কেটে ওঠে। তারপর অধীর আগ্রহে সৈকত জিজ্ঞেস করে- পারমিতা, তোমার কী হয়েছে, তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?- বলে পারমিতাকে নিয়ে হেঁটে চলে লাইব্রেরির দিকে। পারমিতা একটা চিরকুট ধরিয়ে দেয় সৈকতকে। চিরকুটে চোখ মেলে ধরল সৈকত- পারমিতা , তোমার খোঁজে এসেছিলাম। না পেয়ে লিখে যাচ্ছি। সংবাদ পাওয়া মাত্রই বাসায় চলে আসবে। অতি জরুরি । অবশ্যই আসবে।- দাদাবাবু , তাং : ১৩.০৭. ১৯৯৮।
চিরকুটটি পারমিতার হাতে দিতে দিতে সৈকত বলে কোন দুশ্চিন্তা করো না। বাসায় তাড়াতাড়ি যাও। পারমিতা নীরব। সৈকত আর কথা বাড়ায় না। বইপত্র জমা দিয়ে, কাউন্টার থেকে ব্যাগটা তুলে সৈকত ও পারমিতা রিকশায় চেপে বসে। সৈকত বাসায় যায় নি। পারমিতাকে নামিয়ে দিয়ে ওই রিকশাতেই ফিরে আসে।
*
প্রভাময়ী দেবী। পারমিতার মা। সংবাদ পেয়েই তিনি গত সন্ধায় এসেছেন। ছেলে পাপ্পুকে সাথে করে নিয়ে এসেছেন। পারমিতার দাদাবাবু অভীক মজুমদারের বাড়ি থেকে কেউ আসে নি। কারণ ওদের আর কেউ এখন বাংলাদেশে থাকে না। গত বছর সবাই ইন্ডিয়ায় চলে গেছে।
প্রভাময়ী দেবী ঘরের এমাথা-ওমাথা পায়চারি করছেন। আর মাঝে মাঝে মনের অজান্তেই টেলিফোন সেটটার দিকে তাকাচ্ছেন। সেই দুপুর থেকে মেয়েটার ব্যথা ওঠেছে । নরমাল ডেলিভারি হল না। শেষ বিকেলে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। সুদেষ্ণা মা-বাবার প্রথম সন্তান। তাই প্রভাময়ী দেবী খুবই আকুলচিত্তে অপেক্ষা করছেন সুসংবাদ পেতে। তিনি বেশ চিন্তা-ভাবনা করছিলেন। কারণ ব্যথাটা বেশিই হয়েছিল। জামাই বুঝাল- মা, চিন্তা করবেন না। নরমাল ডেলিভারি না হলে সিজার করাবো। আজকাল আধুনিক চিকিৎসা । কোনরকম অসুবিধা হবে না। আপনি বাসায় থাকুন। পাপ্পু আর আমি যাচ্ছি।
যাওয়ার আগে প্রভাময়ী দেবী ছেলে পাপ্পুকে বারবার বলে দিয়েছেন- আমার মেয়েটার অবস্থা জানিয়ে কতক্ষণ পরপরই ফোন করবি।
সেই যে বিকেল বেলা ওরা গেল এই পর্যন্ত কোন সংবাদ জানায় নি। কাজের মেয়েটা কতক্ষণ পরপরই এসে বলছে- জেঠীমা, চিন্তা কইরেন না। কুনু অসুবিধা অইব না। আমার মনে হয় হেরা খুব ব্যস্ত আচে। হের লাইগ্যা ফুন করতে পারতেছে না। আফনে চেয়ারে বইন শইলডা ঠান্ডা অইব।
কাজের মেয়েটা আপন মনে কথা বলেই যাচ্ছে। আর প্রভাময়ী দেবী নিজের আপন ভুবনে ডুবে আছেন গভীর চিন্তায়। চিন্তাক্লিষ্ট মনে শুধুই পায়চারি করছেন। কলিং বেলটা বেজে ওঠতেই কাজের মেয়েটা রীতিমত দৌড়ে যায়। প্রভাময়ী দেবীও পায়চারি থামিয়ে এগিয়ে যান। পারমিতা ঘরে পা ফেলতেই প্রভাময়ী দেবীর উৎকণ্ঠচিত্তে জিজ্ঞাসা করনে- এতক্ষণে এলি মা?
পারমিতা কিছুটা ভড়কে যায়। কারণ মা এসেছেন সে খরব পায় নি পারমিতা। মাকে জড়িয়ে ধরে পারমিতা বলে আমি একটু আগেই খবর পেলাম। খবর পেয়েই সরাসরি চলে এলাম। মা, দিদি ওরা কোথায় ? কাউকে দেখছি না কেন?
তোর দিদিকে নিয়ে ওরা হাসপাতালে গিয়েছে।
হাসপাতালে? দিদির কী হয়েছে মা? আমি কিছুই জানতে পেলাম না।- পারমিতার চোখের কোণে বিন্দু বিন্দু জল জমে গেছে। পারমিতা জানত যে ওর দিদি গর্ভবতী। তবে ডেলিভারির ডেটটা তো আরও সপ্তাহখানেক পর। তাই এ কথাটা মাথায় একদমই আসে নি। মার কথাটা শোনার পর বেশ হালকা লাগছে নিজেকে। তারপর মাকে আরও জড়িয়ে ধরে বলে- মা, তোমার নাতি হবে না নাকি নাতনী ?
মেয়ের কথায় প্রভাময়ী দেবী যেন একটু আনন্দিত হলেন। ভেতরের হাহাকার যেন অনেকটা হালকা হয়ে গেছে।প্রভাময়ী দেবীর মুখমন্ডলে উজ্জ্বল ছায়া আচমকা খেলে গেল। তারপর সোহাগী কণ্ঠে বলেন- কোনটিতেই আমার মন খারাপ হবে না। যা হবে তাতেই আমি সুখী।
পারমিতা খুশিতে আটখানা হয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে থেকেই বলে মা এর জন্যেই আমি তোমাকে খু-উ-ব ভালোবাসি।
প্রভাময়ী দেবীর উজ্জ্বল মুখখানা মূহূর্তেই আবার চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে গেল। মেয়েটার যে কী হলো কিছু জানতে পেলাম না। বারবার বলে দিলাম ফোন করিস । না, আর একদম ভালো লাগছে না। কথা বলতে বলতেই কণ্ঠস্বরটা কেমন ভারী হয়ে এল প্রভাময়ী দেবীর।
কোন হাসপাতালে গিয়েছে, বলেেছ কিছু ?- পারমিতা মাকে জিজ্ঞেস করে।
না-রে মা! আমাকে ওরা কিছুই বলে যায় নি।- এই বলে গা-ছাড়া ভাব নিয়ে সোফায় হেলান দিয়ে বসলেন প্রভাময়ী দেবী। পারমিতা কাছাকাছি হয়ে বসল। প্রভাময়ী দেবী পারমিতাকে কাছে টেনে নিলেন। তারপর প্রায় কান্না জড়ানো কণ্ঠে বলেন- মেয়েটা আমার কী যে কষ্টটা করল সারাদিন। এখন কোথায় আছে, কেমন আছে কিছুই জানতে পারছি না।
পারমিতা সান্তনা দেবার ভঙ্গিতে মাকে বলে- মা, কোন দুশ্চিন্তা করো না। ডেলিভারি কেস আজকাল কোন ব্যাপারই না।
প্রভাময়ী দেবী সন্দেহপ্ররণ দৃষ্টি নিয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন ঠিক বলছিস তো মা?
মাকে গলায় জড়িয়ে ধরে পারমিতা বলে- হ্যাঁ মা, তোমার সাথে আমি কখনও মিথ্যা বলি?
মেয়ের কথায় প্রভাময়ী দেবী অনেকটা শান্ত হলেন। পারমিতার ভেতর ঘরের দিকে পা বাড়াল।কাজের মেয়েটা দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে ওদের কথাই শুনছিল। পারমিতাকে আসতে দেখেই সরে গেল। পারমিতা এগিয়ে গিয়ে বলে ‘রান্না-বান্না সব করে রেখেছিস তো?
না দিদি, এখনও কিছুই রান্না করি নি।
বসে থাকলে চলবে? খাবার রেড়ি করে রাখ।- এই বলে পারমিতা মায়রে কাছাকাছি এসে বলে মা দাদাবাবু তো একটু পরেই আসবে। কিন্তু কিছুই তো রান্না করা হয় নি। পারমিতা ভাবে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলে কিছুক্ষণের জন্য মনটা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকবে।
মা তোমার হাতের রান্না দাদাবাবুর খুব পছন্দের। ওঠ মা, দাদাবাবু পরিশ্রান্ত হয়ে ফিরবে। মাকে রীতিমত টেনেই তুলল। মা রান্নাঘরের দিকে গেলেন। পিছু পিছু কাজের মেয়েটাও। পারমিতা ক'দিন পরপরই বাসায় চলে আসে । কিছুদিন থাকে, তারপর আবার হলে চলে যায়। তাই কিছু জামা কাপড় এবং বইপত্র বাসাতে সবসময়ই থাকে।
জামা কাপড় পাল্টিয়ে পারমিতা বাথরুমের দিকে পা বাড়ায়, এমন সময় টেলিফোনটা বেজে ওঠে। পারমিতা রীতিমত দৌড়ে গিয়ে টেলিফোন রিসিভার তুলল। প্রভাময়ী দেবীও ছুটে এলেন। পারমিতা কথা বলছে। প্রভাময়ী দেবী মনোযোগ দিয়ে মেয়ের কথাবার্তা শুনছেন। কিন্তু ওপার থেকে কি বলছে তা তো তিনি শুনতে পারছেন না। তাই চোখে-মুখে উৎকণ্ঠা জড়িয়েই আছে।
টেলিফোনটা রেখেই পারমিতা মাকে বলে- মা কোন চিন্তা করো না। ভাল একটা ক্লিনিকে ভর্তি করিয়েছে। ওরা অনেকক্ষন চেষ্টা করেছে। নরমালি হবে না। অপারেশন করবে। একটু পরই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবে। প্রভাময়ী দেবীর পায়চারি আবার বেড়ে গেল। কয়েক চক্কর মায়ের পিছু পিছু পারমিতাও হাঁটল। তারপর খুবই ক্ষীণ কণ্ঠে বলে- মা, অপারেশন শেষ হলেই পাপ্পু ফোন করে চলে আসবে।
প্রায় দেড় ঘন্টা পর ফোন বেজে ওঠল। পারমিতা দৌড়ে গিয়ে রিসিভারটা তুলল। ওপার থেকে পাপ্পুর কণ্ঠে উচ্চারণ- দিদি, ভাগনী হয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর। বাচ্চা বেশ সুস্থই আছে। দিদিও সুস্থ আছে। আমি এক্ষুণি আসছি। রাখলাম।
টেলিফোন রেখেই পারমিতা প্রভাময়ী দেবীকে জড়িয়ে ধরে খুশীর খবরটি জানাল। প্রভাময়ী দেবী দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে শান্ত হয়ে বসলেন।
0 মন্তব্যসমূহ