হুমায়রা বিনতে শাহরিয়ার
এ কথা মিছে নয় বাবুমশাই,
নারীদের তোমরা ভাবো অবহেলার পাত্র; ভোগ্যবস্তু মাত্র।
এখন তো মন-মানসিকতার পরিবর্তন করা শিখো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।
একুশ শতকের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে আমরা -
তবুও রোজ রোজ কি শুনতে হচ্ছে?
যৌন নির্যাতন, নিপীড়ন! নারীকে নিচু করার যত সব পরিকল্পনা।
ধর্ষণ?
শুধুই কি ধর্ষণ? তারপর হত্যা?
সুরক্ষিত কী কোথাও - কারো নিকট নেই নারী?
রাজপথে নেমে এলো শত শত বিক্ষোভকারী, তথা নারীর ঢল।
নারীর জন্যেই তো নারী।
দাবি মানতেই হবে - “ধর্ষককে ফাঁসি দিতেই হবে।”
নারী কি ভোগের জিনিস?
নারী - একজন মা, বোন-বউ-কন্যা-প্রেমিকা।
নারী - সাদা-কালো-লম্বা-খাটো-শুকনা-মো
সে যেমনই হোক; সে নারী জাত।
তাদের সম্মান করবে না তো কার সম্মান করবে তুমি পুরুষ?
“মেয়ে” - বলেই কি চুপ থাকতে হবে?
‘মানিয়ে নে মা’ - কেনো মানিয়ে নিয়ে ছোট হয়ে থাকবো?
সমান অধিকারটা তবে কোথায় পাবো আমি?
‘লোকে কী বলবে?’
কম হচ্ছে না তো - লোকে কী বলবে শুনে আত্মহত্যার সংখ্যা!
‘মানুষ খারাপ বলবে।’
খারাপ বললেই যে আমার পথ চলা থেমে থাকবে।আর আমি খারাপ হয়ে যাবো। - কে বলল সে কথা?
‘সমাজ মেনে নিবে না’
আমিও তো এই সমাজেরই অংশ, তবে কেনো মেনে নিতে এতো কষ্ট হচ্ছে?
আমি নারী। - সমস্যাটা কি এটাই?
নারী তো এই সমাজেরই অর্ধেক। এর বাহিরে তো নয়!
তবে কেনো এতো বৈষম্য? দমিয়ে রাখার কেনো এতো চেষ্টা?
যুগে যুগে বহু মনীষী শুধু বলিয়াই গেলেন - ‘নারীদের করিও তোমরা স্নেহ-যত্ন।’
বলিয়া বলিয়া হায়!
মনীষী করিলো ব্যথা তাহার মুখ,
কেহই বুঝি পায় নি শুনতে - এই অযথার অমূল্য বানী?
নারী বিনা এই জগত নীল,
কেহ কি বুঝিলো তাহার মর্ম?
মেয়ে, তুমি চুপ করে বসে থাকো।কেনো থাকবে সে চুপ করে?
মেয়ে তুমি “না না না” - বলতে শিখো।
মেয়ে, তুমি নারী জাত; এটাই তোমার অহংকার।
মেয়ে, তুমি নারী, নিজের অধিকার আদায় করে নিও।
মেয়ে, তুমি সব ভুলে গিয়ে নিজের মতন করে বাঁচতে শিখো।
- এসব ছাপিয়ে নারী তুমিই এগিয়ে।
0 মন্তব্যসমূহ