সাঈদ সুমন
ঘুম আর জেগে উঠা, মাঝে দৈনন্দিন কার্য সাধন, অন্নসাবাড়, কায়াক্রিয়া নিবারণ; এর নামই কি জীবন। ব্যক্তিভেদে জীবনের মানে ভিন্ন, সেই ভিন্নতা নিয়ে তার্কিক আবহ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই লেখার সুচনা নয়।
ব্রিটেনে কক্সবাজারের মতো সমুদ্রতটে বিস্তৃত বালুচর নেই, উষ্ণ সাগরজলে জলকেলির আমেজ নেই, তরতাজা কড়কড়া ভাজা রুপালি চান্দা নেই, এতসব নেই এর মধ্যেও অনেক কিছু আছে। জুরাসিক কোস্ট, সাদাকালো-বর্নিল ক্লিফ, নাতিদীর্ঘ বালুচর-নুড়িচর, স্বচ্ছ শীতল জলরাশি, আর নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাতো আছেই।
সাগরিকা শৈশব আমার, নৌবানিজ্যে জড়িয়েছিলাম যৌবনের অধিকাল.......শুধুকি তাই, সাগরকন্যার জলও করেছি পান, তাই সাগর আমায় খুব টানে। সাগরেই খুজে বেড়াই জীবনের জিজ্ঞাসা। বিশালতা, নিষ্টুরতা, মায়া, রত্নাগার কি নেই সমুদ্রের?
শুধু কাজ আর কাজ, কেউ ছুটি পেয়েছে, কেউ পায়নি, তাতে কি, ডাক দিয়াছে সাগর আমাদের... তীব্রগর্জনে, সুখউল্লাসে আমরা ক'জন ডুবেছিলাম নীলের মায়ায়। এতকাছাকাছি ছয়টি তাবু আমাদের যে সর্বপ্রকার বায়ুর আদানপ্রদানের সংকেতও কর্নকুহুরে পৌছে যেতো। ছুটির আমেজ, প্রকৃতির পরশ, পাহাড়ের উচ্চতা আমাদের করেছে মহান, পরষ্পর পেয়েছি হৃদয়ের সুঘ্রাণ। বন্ধুতা বাঁধা পায়নি বয়সের বিভেদে আর তাই গভীর রাতে আমিষে ভরপুর হাস্যরসে মেতেছিলাম সবাই।
গিয়েছিলাম ডাডলডোর, শুন্যে পাথর হর্ষের আকৃতি নিয়ে সাগরজল করছে চুম্বন। এমন সুন্দর জায়গার নাম ডাডলডোর হয় কি করে! আমারা নাম দিলাম "সুহর্ষি"। বিদায়বেলায় সাগরের কানে চুপিচুপি বলেছি "সুহর্ষি তোমাকে আমার চেয়েও অধিক ভালোবাসে, ওকে আগলে রেখো"।
0 মন্তব্যসমূহ